নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালরাজনীতি
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি

আগামী সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। এখন সেই ভোট গ্রহণেরই প্রস্তুতি চলছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় গত ১ সেপ্টেম্বর। সেখানে ভোট গ্রহণের তারিখ ১৭ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়।
১টি চেয়ারম্যান, ৫টি সাধারণ সদস্য ও ২টি সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ মোট ৮টি পদ নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। নির্বাচনে এতোমধ্যেই চেয়ারম্যান ও ২টি সাধারণ সদস্য পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে ৩ জন। বাকি যে ৫ টি পদ রয়েছে, সেখানে লড়াই করছেন ১৯ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে ভোটার জনপ্রতিনিধিরা হলেও পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য জেলা পরিষদের এই পদ গুলোর দায়িত্বে কারা আসবে, তা দেখবে আগ্রহী সাধারণ মানুষ। ইভিএম‘র মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেই আগ্রহের পরিত্রাণ ঘটবে ১৭ অক্টোবর বিকালের ৩টার মধ্যেই।
এক নজরে জেলা পরিষদ নির্বাচন
এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট সাধারণ ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫টি, মোট সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা ২টি, মোট ভোট কেন্দ্র ৫টি, মোট ভোটকক্ষ ১০টি, ভোটার সংখ্যা ৬১০, পুরুষ ৪৬৬ ও মহিলা ১৪৪।
নির্বাচন উপলক্ষে ১৬ অক্টোবর মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে ভোটের দিন দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় স্থানীয় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নৌযান চলাচলের ওপর।
যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি, পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। এ ছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও কতিপয় জরুরি কাজ যেমন: অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির কাজে নিয়োজিত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এ ছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যক্তি নামে ব্যবহৃত লাইসেন্সধারী পিস্তল বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড গঠিত। ১ জন মেয়র, ২৭ জন কাউন্সিলর ও ৯ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরসহ মোট ৩৭ জন এই ওয়ার্ডের ভোটার। তাদের ভোট নিতেই লড়ছেন মো. আলাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, সায়েম রেজা ও মো. মজিবুর রহমান নামের ৪ প্রার্থী।
নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছে জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড। চেয়ারম্যান-মেম্বার মিলে ১৬২টি ভোট রয়েছে এই ওয়ার্ডে। অন্য ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যার মতোই ভোট প্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। এখানে লড়াই করছেন মাসুম আহম্মেদ, মো. মোবারক হোসেন, মো. মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, মো. রাসেল শিকদার, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আমির উল্লাহ। ভোট গ্রহণ হবে সস্তাপুরের কমর আলী স্কুল এন্ড কলেজে।
সোনারগাঁয়ের ১০২ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী জনপ্রতিনিধির ভোটের প্রত্যাশা নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মাঠে নেমেছে মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. আবু নাইম নামের দুই প্রার্থী। আগামী ১৭ অক্টোবর আমিনপুর বাজারের জি.আর. ইনস্টিটিউট মাঠে বিজয় প্রার্থীকে বেছে নিবে ভোটাররা।
তবে, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের ২টি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে আনছার আলী ও আলাউদ্দিন নামের দু‘জন।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে জেলা পরিষদের ১নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যের ওয়ার্ড। আসনটিতে ১৯৯ জন জনপ্রতিনিধি ভোট দিবেন। এ সকল জনপ্রতিনিধির ভোটের প্রত্যাশা নিয়ে আছিয়া খানম সুমি, সাদিয়া আফরিন, নাছরিন আক্তার।
আর ২ নং ওয়ার্ডে লড়ছেন হাওয়া বেগম, শাদিয়া মোশারফ, সীমা রানী পাল ও এডভোকেট নূর জাহান। তারা সকলেই সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলার ৪১১ জন জনপ্রতিনিধির ভোট প্রত্যাশা করছেন।