জাতীয়ঢাকাঢাকা বিভাগরাজনীতি

হামলা, মামলাসহ বহু বাধা পেরিয়ে বিএনপির ঢাকার গণ-সমাবেশ সম্পন্ন

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের নানা ধরণের বাধা পেরিয়ে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বিএনপির ঢাকার গণ-সমাবেশ। এই সমাবেশে সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিসহ ১০ দফা ঘোষণা দেয় বিএনপি নেতারা।

এই সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকায় জড়ো হয়েছেন।

তবে সমাবেশের আগেরদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস গ্রেফতার হওয়ার পর কিছুটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোয়াঁশা। বিশেষ করে ভেন্যু নিয়ে যে নাটকীয় ঘটনা প্রবাহ মঞ্চস্থ করেছিলো ডিবি, তাতে করে আদৌ সমাবেশ করা যাবে কি না। এছাড়া নয়াপল্টনে পুলিশি হামলায় ২ জন নিহত ও গায়েবী মামলায় গণ-গ্রেফতার, বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে ককটেল বোমা উদ্ধারের অভিযোগে ক্রাইমসিন ঘোষণা করে কার্যত দখল করে কাউকে ডুকতে না দেয়া, এনআইডি ও ফোন চেক করে গ্রেফতার বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে।

এদিকে চলমান দমন-পীড়ণের প্রতিবাদে জোরালো জানিয়েছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টন সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের উপর্যুপরি হামলা, গুলি, গ্রেফতার ও একজন নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘খেলা হবে’ বক্তব্যের আগ্রাসী রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার তাদের খেলার অংশ হিসেবে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কোনো উসকানি ছাড়াই পুলিশ নয়াপল্টনে হামলা চালায়। এর বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান ও গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার নৃশংসতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। বিরোধীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ভীতিকর ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সরকারের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ জানায় গণতন্ত্র মঞ্চ।

তিনি আরও বলেন, নয়াপল্টনে গতকাল বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেখানে অবস্থান নেওয়ার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা গিয়েছিলেন। কিন্তু নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সঙ্গে আছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘খেলা হবে’ বক্তব্যের আগ্রাসী রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। কোনো উসকানি ছাড়া পুলিশ হামলা চালায়। সরকারি দলের খেলার অংশ হিসেবে হামলা-নির্যাতন শুরু হয়েছে। এটা পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সরকার ভয় পেয়ে তিন দিন আগেই তাণ্ডব শুরু করেছে। বিএনপি অফিসে গিয়ে এ ধরনের হামলা আওয়ামী লীগের জন্য কলঙ্কজনক হয়ে থাকবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপি যেন ঢাকায় কোনোভাবেই সমাবেশ করতে না পারে- সরকার তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। পুলিশের সঙ্গে প্রাইভেট বাহিনীও নামানো হয়েছে। কিশোর সন্তানকেও আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নয়াপল্টনে হামলার ঘটনা তুলে ধরে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, সরকার বিএনপির মতো একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় দলকে কোণঠাসা করার জন্য যা করেছে, পাকিস্তানি বাহিনীও এমন তাণ্ডব চালায়নি। এখনকার সংগ্রাম শুধু বিএনপির একার নয়, সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোরও।

 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বিগত ১৪ বছরের ভোট ডাকাতি, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাটের মাধ্যমে সরকার দেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। দেশ, দেশের মানুষ ও অর্থনীতিকে বাঁচাতে এখনই জনগণকে সাথে নিয়ে দল-মত নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তিকে এই  সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে- সরকারের বিরুদ্ধে সর্বব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলার এখনই সময়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুসহ মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খেলাফত মজলিস : এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার সব রাজনৈতিক দল তথা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দেশে অবাধ রাজনীতির চর্চা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপি আহূত সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিএনপি অফিসের সামনে অবস্থানরত মানুষের উপর পুলিশের পরিকল্পিত হামলায় একজন নিহত, বহু লোক আহত হয়েছে। বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারের এ পদক্ষেপ দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। আমরা এ ধরনের হামলা, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হত্যাকণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা): দেশপ্রেমিক জনগণের উপর গুলি ও জুলুম-নির্যাতন এবং বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। তিনি বলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের উপর গতকাল আওয়ামী লীগের উসকানিতে পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ন্যক্কারজনক। আওয়ামী লীগ আবারো ফ্যাসিবাদের পুরনো রূপ ধারণ করেছে। সরকার লাশ ও জুলুম-নির্যাতনের খেলায় মেতে উঠছে। তারা চিরস্থায়ী ক্ষমতা ধরে রাখতে মরণ কামড় দিয়ে জনগণের রক্ত চুষতে চায়। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।

আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে গতকাল জাগপা আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস নয়, রাজপথ হবে জনগণের অধিকার আদায়ের ঠিকানা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজ রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা নেতা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক সানি, অমিত মানকিন, মো: ইউসুফ উদ্দিন, মো: আলমগীর, মুনসুর আলম প্রমুখ।

লেবার পার্টি : বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোরপূর্বক ঢুকে পুলিশি অভিযান, বর্বরোচিত হামলা ও নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারকে পৈশাচিক, ফ্যাসিবাদী ও সংবিধানপরিপন্থী জঘন্য নৃশংসতা উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান বলেন, নয়াপল্টনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে গণতন্ত্রকামী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করতে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা একটা বর্বরোচিত, পৈশাচিক, নারকীয় ও মর্মান্তিক ঘটনা, যা সংবিধানের চরম পরিপন্থী।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, মিছিল-সমাবেশসহ রাজনৈতিক যেকোনো কর্মসূচি পালন সাংবিধানিক অধিকার। আজকে যারা নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তাদের আখের সুখকর হবে না। গতকাল রাজধানীর মাতুয়াইলে আমান সিটি জামিয়া কারিমিয়া দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মৌলভী নূরুল হক মুন্সি, মুফতি মাঈনুদ্দিন খান তানভীর, হাফেজ মাওলানা মুফতি সলীমল্লাহ খান প্রমুখ।

নেজামে ইসলাম পার্টি : এক যুক্ত বিবৃতিতে পার্টির আমির আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরী অবিলম্বে আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিহার করে সহনশীল আচরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃত নির্দোষ নেতৃবৃন্দের মুক্তি দিয়ে গণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে সমঝোতার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ন্যাপ : রাজনৈতিক সমাবেশে বাধা প্রদান, শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে সহিংস করে দেশকে সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া এবং রাজনৈতিক অধিকারে বাধা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, বহুদলীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করা, এমনকি ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা বাংলাদেশের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
যুব জাগপা : ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে জনমানুষকে গ্রেফতার এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু ও সাধারণ সম্পাদক কাওছার হামিদ। গতকাল রাজধানীর আরামবাগ মোড়ে এক সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।

বিকল্পধারা : বিএনপি কার্যালয়ে বুধবার পুলিশি হামলায় বিএনপি কর্মী হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার পৃথক আরেক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ নিন্দা জানান। এতে বলা হয়, সরকারের নির্দেশে বুধবার বিএনপি অফিস দখল, সিসিটিবির ক্যামেরা বন্ধ করে অফিস তছনছ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী স্বাধীনতার ঘোষক জিয়ার মুড়াল ভাঙা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারীর গুলিতে মিছিলের কর্মী মকবুল হত্যা, বিএনপি কার্যালয়ে ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে বেধড়ক মারধর, গুলি করে আহত, সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মীদের ওপর হামলা, গুলি ও গ্রেফতার, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী গ্রেফতার গায়েবি মামলায় হয়রানি ইত্যাদির মাধ্যমে পুলিশ সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দলটি আরো জানায়, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের সশস্ত্র শক্তিকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে কখনোই দাবিয়ে রাখতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীকে গণদাবি অনুযায়ী এখনই পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশজনতার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী, দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী এই একদলীয় সরকার হটাতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণঐক্য গড়ে তুলে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানায় দলটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close