অপরাধসোনারগাঁও

সোনারগাঁ সনমান্দী ইউনিয়নে ঝর্না বেগমের খপ্পরে পরে স্বর্বশান্ত অনেক অসহায় পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ এর বাগবাড়ি বারপাড়া এলাকায় মোঃ জামালের কন্যা ঝর্না বেগমের খপ্পরে পরে স্বর্বশান্ত হয়ে পরেছে অনেক গরীব অসহায় পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি ভাতা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে ৫০০ ও ১০০০ টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি টাকা নিয়ে আর কাজ না করায় ক্ষোভে ফুসছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়া, গরু-ছাগল, টিউবওয়েল, দারিদ্র্যবিমোচন এর লক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের অনুদান, বিভিন্ন দপ্তরের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ টিসিবি কার্ড দেওয়ার কথা বলে নানা মানুষের কাছ থেকে যার কাছ থেকে যে ভাবে পারছে সেভাবেই টাকা পয়সা নিয়ে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় আত্মসাতের টাকা দিয়ে গরীবের হক মেরে ঝর্না বেগম তার দুই ভাইকে বিদেশে পাঠায়। তখন ভুক্তভোগীরা ঝর্না বেগমকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে তখনই বিভিন্ন দপ্তরের অফিস সহায়কসহ নানান জনের কথা বলতে থাকেন এবং বলেন যে আমি টাকা পয়সা নিয়ে তাদের দিয়েছি। কিন্তু ঝর্না বেগম আদৌ কাউকে কোন টাকা পয়সা দেয়নি বলে জানা গেছে। তবে কেউ ঝর্না বেগমের কাজ করে না দিলে তাহলে তাকে অনেক হেনস্তার শিকার হতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মাহাবুব আলম সুমন প্রতারণার শিকার হন। সুমনকে ব্ল্যাকমেইলিং করতে না পেরে উল্টো তার বিরুদ্ধে ঝর্নার যতো অভিযোগ আছে সব প্রয়োগ করে সুমনের বিরুদ্ধে। যার কারণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুমনকে গুম ও খুন করার উদ্দেশ্যে হুমকী ধামকী দিয়ে অপপ্রচার চালায় চক্রটি। সুমনের খানপুরের বাড়িতেও অজ্ঞাত কিছু দুস্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সুমনের বিরুদ্ধে মানব বন্ধনসহ অপপ্রচার চালিয়ে চাকুরী থেকে বহিস্কার এবং খুন করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। যার ফলে সোনারগাঁয়ে মাহাবুব আলম সুমনের অফিসে যাওয়া আসা হুমকী স্বরূপ হয়ে পরে। বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত ও হয়রানীর কারনে সুমন মানসিক এবং শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে নারায়ণগঞ্জের সরকারি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারের পর্যবেক্ষনে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মাহাবুব আলম সুমন বলেন, এই মহিলা দুরন্দর প্রকৃতির। সে আমার কাছে বেশ কয়েকবার সাহায্য সহযোগীতার জন্য এসেছিল এবং আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে চেয়েছিল কিন্তু তাকে ঋণ না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বর্তমানে ঝর্না বেগম সোনারগাঁয়ে এক প্রতারক হিসেবে মূর্তিমান আতংকের নাম। সোনারগাঁয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারি দপ্তরগুলো ঝর্না বেগমের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অনেক পরিবার তার প্রতারণার স্বীকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close