জাতীয়
এমআরটি-৫ প্রকল্প : এক পুনর্মূল্যায়নেই ব্যয় কমল ৭ হাজার কোটি টাকা
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নতুন রুটে প্রথম পুনর্মূল্যায়নেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশে এ পর্যালোচনা করা হয়। সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাবটিতে আরও খরচ হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ডিএমটিসিএল প্রকল্পটির জন্য ৫৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে পরিকল্পনা কমিশনের মূল্যায়ন কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করলেও তখন ব্যয়ে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বড় প্রকল্পগুলোর ব্যয় পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ডিএমটিসিএল প্রকল্পটি পুনর্বিবেচিত হয় এবং ব্যয় ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি টাকায় সংশোধিত হয়। প্রথম পর্যালোচনার পর ডিএমটিসিএল সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে জমা দেয়।
ডিএমটিসিএলের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের প্রেক্ষাপট ও ব্যয় বিশ্লেষণ, ইউনিট রেট, বৈদেশিক ঋণের সুদ এবং সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ব্যয় কমানো হয়েছে। মোট ব্যয়ের মধ্যে ৩৯ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বিদেশি ঋণের আওতায় থাকবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং দক্ষিণ কোরিয়া এ অর্থায়নে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এমআরটি লাইন-৫ দক্ষিণ রুটটি গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজ গেট, আসাদ গেট, রাসেল স্কয়ার, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, আফতাবনগর, নাসিরাবাদ এবং দাশেরকান্দি এলাকাগুলোকে সংযুক্ত করবে। এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে গাবতলী থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত ১৩.১০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ এবং আফতাবনগর থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কিলোমিটার উঁচু মেট্রো লাইন তৈরি করার কথা রয়েছে।