জাতীয়

আটক ছাত্রদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ শেখ হাসিনার

আটক সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে কোটা আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

চলমান পরিস্থিতিতে এ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

এদিকে, গতকাল রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনার পাশাপাশি তিন নেতাকে দায়িত্ব দেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকতে হবে। একইসাথে তিন নেতার টিম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে।

এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদেরও যুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকালও গণমিছিল করেছে। গতকালের গণমিছিলে কবি সাহিত্যিক, শিক্ষক চিকিৎসক, শিল্পী কলাকুশলীসহ বিভিন্নস্তরের শ্রেণিপেশার মানুষও সংহতি জানিয়ে অংশ নেন। ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ ও সিলেটে গণমিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দুইজনের প্রাণহানি হয়।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর, নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানে গণমিছিলে হামলা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ আসে।

চলমান পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ছাড়া রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

মিথ্যা মামলায় শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, গণগ্রেফতার বন্ধ ও আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিচার চেয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close