রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে (২৮) কুপিয়ে
জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই নারীর মামাতো ভাই
মোবারক হোসেনের বাম হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে বখাটেরা।
ওই গৃহবধূ বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তার মামাতো ভাই মোবারক
হোসেন ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার
গভীর রাতে রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার টাটকী এলাকায়।
রূপগঞ্জ থানায় দেয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে
উপজেলার টাটকী এলাকার মৃত তোফাজ্জল মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া ওরফে চোর
শাহিন (৩৫) একই এলাকার ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না
হওয়ায় বুধবার রাতে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ঘুমের মধ্যে মুখ চেপে ধরে
ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চিৎকার দিলে পাশের রুম থেকে ওই
নারীর বোন মুক্তা আক্তার ও শিলা আক্তারসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
তখন বখাটে শাহিন পালিয়ে যায়। গভীর রাতে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চোর শাহিন,
আজগর, নুর নবী, নুর আলম, রফিকুল ইসলাম, আকাশ মিয়া, ইসমাইলের ছেলে
শাহিন, মিলনের ছেলে নাহিদ, নাঈম, দিপু মিয়া, ছনিয়া আক্তার, মনি আক্তারসহ
আরো ৭-৮জন বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরের দরজা, জানালা, টিনের
বেড়া, গেইট ভাংচুর করে। তখন বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ওই নারীকে
কুপিয়ে হাত, পা, শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। এ সময় ওই নারীর মামাতো
ভাই মোবারক মিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে।
একপর্যায়ে মোবারকের বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে। ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে
স্বর্ণালংকার, মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। বুধবার রাতেই
স্থাণীয়রা উদ্ধার করে ওই নারীকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মোবারক
মিয়াকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করান।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে।