রাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ
সিদ্ধিরগঞ্জে গণসংযোগে ভোটাদের ভালোবাসায় সিক্ত শামীম ওসমান

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নং ওয়ার্ডস্থ বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি এলাকায় নৌকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছে নারায়ণগঞ্জ:৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম। এসময় তিনি স্থানীয় ভোটারদের ভালোবাসা ও ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন।
আজ শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত (নাসিক) ২ং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিভিন্ন কর্তৃক আয়োজনে সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী।
গণসংযোগে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এ নেতা বলেছেন, তার বিয়েও এতো আনন্দে করে নাই সে, নির্বাচন যতো আনন্দে করছে। এটা কন্টিনিউ করতে চান।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলে, রূপগঞ্জে সংঘর্ষ হয়েছে। নির্বাচনে এটা হতেই পারে।তবে,
এটা হওয়া উচিত না। পুলিশ সুপার, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।
সাংবাদিকের প্রশ্নে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ.লীগ অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ আ.লীগ তালাবদ্ধ কিনা জানা নেই আমার। আমি নির্বাচন করছি, মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি, আ.লীগের অফিসে যাওয়ার সময় আমার নাই। আমি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা করছি, আপনারা দেখছেনই।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যে পরিমাণ মানুষ হয় তার মধ্যে প্রতি পরিবার থেকে অন্তত দুজন করেও কেন্দ্রে গেলে আমার নারায়ণগঞ্জ:৪ আসনে ৫৫% ভোটার উপস্থিত হবেন। আর যদি পাশের বাড়ির লোকজন নিয়ে আসে তাহলে ৬৫% হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাকে গোপালগঞ্জের চেয়ে শক্ত দাবি করে তিনি বলে, আমি হলাম সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ফতুল্লার বাসিন্দা। আমি মনে করি এ দুটি এলাকা গোপালগঞ্জের চেয়ে শক্ত।
তার আসনে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল আমি কাশিপুর এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আনি চাচ্ছিলাম মানুষ আমার থেকে কিছু দাবি করুক। কিন্তু কেউ কিছু চায়নি। তবে কিছু মহিলা এসে বললো একটা দেড় হাজার ফিটের ড্রেন দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আমিনুল হকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।