রাজনীতিসিলেট বিভাগ

শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলের শুরুতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নবগঠিত ছাত্রলীগ কমিটির উপজেলা শাখা, পৌর শাখা ও কলেজ শাখার ব্যানারে নবগঠিত কমিটিতে পদপ্রাপ্তিদের আনন্দ মিছিল করার চেষ্টা করে।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনন্দ মিছিলের শুরুতে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়ে যায়। পরে একাংশের নেতারা দফায় দফায় শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। অতঃপর শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

উক্ত একাংশের নেতারা আমাদের জানান, এই সদ্য ঘোষিত কমিটিতে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিরা রয়েছে এবং অনেক অ-ছাত্র, বিবাহিত এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংবিধান পরিপন্থী অনেকেই রয়েছে যা আমরা কখনোই বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক হিসেবে মেনে নিতে পারি না। এখানে অনেকেই রয়েছে যারা সংগঠন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধেই অনেক বাজে কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করেছিল তারাও রয়েছে তাই তাদেরকে নানাভাবে বলা হয়েছিল তারা যেন কোনভাবেই আমাদের কোন মিছিলে অংশগ্রহণ না করে। আর এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে দাওয়া পালটা দেওয়া শুরু হয়। আর একচেটিয়া ভাবে এই পকেট কমিটি অনৈতিকভাবে আরো অনেক কিছুই করবে যার দায় ভার আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কখনো মেনে নিতে পারি না। আর আমরা যখন এসব বিষয়ের জিজ্ঞাসা করি তখনই অপরপক্ষ আমাদেরকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে আমাদের অনেক নেতা কর্মীদের গায়ে হাত দেয় এবং জামাকাপড় ছেড়ে দেয় তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যখন বাধা দিতে চেষ্টা করি তখন সংঘর্ষ হয়।

আরেকটি সূত্রে জানা যায়, সারা উপজেলায় অনেক নেতাকর্মীরা আছেন যারা যোগ্য এবং যারা অনেকদিন ধরেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগের রাজনীতি করা আসছেন তাদেরকে কোন পদ দেওয়া হয়নি বরং এর চাইতে যারা নব্য ছাত্রলীগ করে এবং অ-ছাত্র, বিবাহিত, প্রবাসী রয়েছে তাদেরকে পদ দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে। সাবেক অনেক ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি এরকম একটা আচরণে। কেননা সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। আর অর্থে যারা পথ পাওয়ার যোগ্য এবং ছাত্রলীগের আদর্শের রাজনীতি করে তাদেরকেই নেতৃত্বে দেওয়া উচিত ছিল। এমনকি সিনিয়রদেরকে প্রাধান্য দিয়ে জুনিয়রদেরকে পরে দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে কার ইশারায় উনারা সিনিয়র জুনিয়র না দেখে একচেটিয়া এভাবে একটি পকেট কমিটি দিলেন তা আমাদের জানা নেই। সংশয় রয়েছে ভবিষ্যৎ ছাত্রলীগের এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজনীতি নিয়ে। নির্বাচনের পূর্বে মিলেমিশে কর্মসূচি দেওয়া উচিত ছিল তা না করে একচেটিয়া ভাবে এটা কিভাবে হটকারী মূলক সিদ্ধান্ত নিলেন এটা আমাদের বুঝে আসছে না। এছাড়াও নানান বিতর্ক রয়েছে সেটা আমাদেরকে মর্মাহত করেছে।

উল্লেখ্য যে, কমিটি বিলুপ্তর দেড় বছর পর গত সোমবার (১৬ই অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী (আমীন) ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত আগামী এক বছ‌রের জন্য শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখার কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close