অপরাধঢাকা

সাংবাদিক অপহরণ থানায় অভিযোগ নিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা সাংবাদিক খুন কিংবা নির্যাতনের বিচার মেলে না এমন প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে সাংবাদিক মহল ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে কিডন্যাপ হয় সাংবাদিক জেমস একে হামীম। এ নিয়ে কয়েক দফায় উত্তরা পশ্চিম থানায় গেল মামলা নেয়নি উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। সাংবাদিক জেমস্ এ কে হামীম একজন মূলধারার সাংবাদিক, বাংলাদেশের সণামধন্য ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্টিং মিডিয়া,সহ অসংখ্য প্রথম সারির  মিডিয়াতে  কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের নিউজের প্রয়োজনে অনেক শত্রু জন্ম নেয়।আমরা সেই শত্রুর ধারাবাহিকতা দেখতে পাই মামলা মোক্কাদমা তর্কবির্তকের মাধ্যমে শেষ হয়ে যায়। গত ১২-০৮/২৩ ইং সন্ধ্যা ৬-১০ মিনিটে সাংবাদিক জেমস্ এ কে হামীম কে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারী একটি চক্র। র্যাপিড এক্যাশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর তৎপরতার অভিযান এবং উত্তরায় বসবাসরত সাংবাদিক নেতা সহকর্মীদের দূরদর্শিতার কারণে প্রাণে বেচে ফিরে এসেছেন জেমস্ এ কে হামীম। দুই দিন পর অপহরণ কারীদের হাত থেকে বেচে ফিরে জানালেন লোমহর্ষক বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনী কথা। তিনি বলেন, পরামর্শ চাইলে ডেকে নিয়ে যায় উত্তরা আব্দুল্লাহপুর,দেখা হয় কথা হয়,একয়াতু সামনে যেতে যেতে, একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসের মধ্যে তুলে নিয়ে  মুখ ও চোখ বেঁধে  উত্তর দিকে নিয়ে যায়।তার  শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড দিয়ে আঘাত করে এবং বলে বদরুল, আরিফের সাথে লাগতে যাস এ কথা বলে অপরণকারীরা। সারারাত বিভিন্ন স্থানে রেখে গভীর রাত গাজী কোনা বাড়ীতে এক অজ্ঞাত লোকের বাড়ীতে নিয়ে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে। সেখানে বদরুলের সহকারী জনি ও আবির সহ আরও ৭/৮ জন লোক ছিল। সাংবাদিকের নানা রকম হয় ভীতি ও মারধর করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুক্তোপর্ণ আদায় করেন চক্তটি। সাংবাদিকদের মামলা করতে উত্তরা পশ্চিম থানা গেলে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। ওসি বলেন, আমি মামলা নিব তবে আবির ও জনির নাম নিতে পারবো না। সাংবাদিক নেতাদের নির্দেশ আছে। উত্তরা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি মামলা নিতে আগ্রহী কারণ আপনাদের সাংবাদিকদের মাঝে একটি গ্রুপ আমাকে ফোন দিয়ে নিষেধ করেন। এবং বলেন এটি একটি তার পারিবারিক ঝামেলা। থানা মামলা না নেওয়া পর সাংবাদিক আদালতে গিয়ে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর (১২৩২)। বর্তমানে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন পিবিএ কাছে তদন্ত চলমান রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close