সিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক

সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবগঠিত নয়টি ওয়ার্ড কমিটিকে পকেট কমিটি দাবি করে নয়া কমিটিগুলোর ১২ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। এছাঁড়া দলের অনেক পদ বঞ্চিত নেতা সংশোধিত কমিটি না হলে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ বহিরাগত, নিষ্ক্রিয়, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি, পুলিশের সোর্স, কিশোরগ্যাং নেতাদের পদপদবী দেওয়া ও ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন, অনেককে না জানিয়ে কমিটি গঠন এমনকি বিএনপি কর্মীকে কমিটিতে পদ পদবি দেয়া হয়েছে। যা দল বহির্ভুত, ষড়যন্ত্রমূলক ও একটি পক্ষকে মূল্যায়ন করে গঠন করা হয়েছে। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকান্ড স্থবির হয়ে যেতে পারে। এমনকি সামনে জাতীয় নির্বাচনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে হীরাঝিল রোজ গার্ডেন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ পদত্যাগের ঘোষনা দিয়ে এসব কথা জানান। পাশাপাশি গঠিত পকেট কমিটি বাতিল করে নতুন ভাবে কমিটি করার দাবি জানান তারা।

পদত্যাগ করা নেতারা হলেন, ১নং ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি আরাফাত রহমান বাবু, রহুল আমিন, ২ নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি আজিজ মোল্লা, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আহম্মেদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো: রনি, ৩ নং ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক আবিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক অজিদ সিং, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহাদুল হক, ৬ নং ওয়ার্ডের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাদল ও সহসভাপতি সাইদুর রহমান মন্ডল।

সাংবাদিক সম্মেলনে নেতাকর্মীরা আরও অভিযোগ করেন, কমিটিতে একই ব্যক্তিকে একাধিক পদে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধ ও অপকর্মে জড়িতরা পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদ। ত্যাগী ও দলীয় কাজে সক্রিয়রা হয়েছে পদবঞ্চিত। প্রাধান্য পেয়েছে নিষ্ক্রিয়, প্রবাসী ও বহিরাগতরা। অনেক ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনেকেইে চিনেননা। কমিটি দেওয়ার আগে সিএস, এসএ, আরএস দেখে কমিটি দেওয়ার কথা হলেও তার কিছুই হয় নাই। তাদের দাবি দলীয় স্বার্থে প্রতিটি ওয়ার্ডের মনগড়া কমিটি বাতিল করে যোগ্য নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন করে কমিটি করা হউক।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ড. কাজী শাহানারা ইয়াসমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. বৈতালী চক্রবর্তী ও মিরাজ বিল্লাহ স্বাক্ষরিত সিদ্ধিরগঞ্জের নয়টি ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত ১ নং ওয়ার্ড কমিটিতে প্রচার সম্পাদক পদে যাকে রাখা হয়েছে তিনি একজন প্রবাসী।

পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একই ব্যক্তি। সাত নম্বর ওয়ার্ড কমিটির মো: শাকিল মাহমুদকে সহসভাপতি ও অর্থ সম্পাদক পদে, আমিনুল ইসলামকে সহসভাপতি ও সাংগঠনিক পদে, মো: মনিরুজ্জামানকে সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে।

নয় নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে সালাউদ্দিনকে দুইবার সহসভাপতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে রাখা হয়। আবার এক ওয়ার্ডের লোক ঢুকে গেছে অন্য ওয়ার্ডের কমিটিতে। এধরনের অনিয়ম ও ত্রুটি থাকায় এসব কমিটি ঘোষনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে সমালোচনার ঝড় উঠে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close