জাতীয়নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এক দফা দাবিতে লড়াইয়ের ডাক দিলেন জোনায়েদ সাকি

১৮ই নভেম্বর, ২০২২ (শুক্রবার) বিকেল ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেএসডি নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মোতালেব মাস্টারের সভাপতিত্বে ও গণসংহতি আন্দোলন জেলার নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রশীদ চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান। এছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তরিকুল সুজন, মাহমুদ হোসেন, খলিলুর রহমান, কবীর হোসেন, আবুল খায়ের, রিবাতুল ইসলাম সহ অঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দফা একটাই। এই সরকারের পতনের মাধ্যমে একটি সুষ্ট নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা ও নতুনভাবে সংবিধানের সংস্কার। এই একদফা দাবিতে জেলায় জেলায় গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আজকে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হলো। বাকি জেলাগুলোতেও হবে। আস্তেআস্তে এই আন্দোলন সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা থেকে নামাতেই হবে। আজকে দেশের পরিস্থিতি কি আপনারা জানেন। নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে, গুম-খুন করে, তারা নাকি দেশের উন্নয়ন করছেন। তাদের হাতেই নাকি দেশ সবচেয়ে নিরাপদ। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, প্রশাসনকে সাথে নিয়ে তারা বলেন খেলা হবে। আমরা বলি আগে লড়াই হবে। তারপর কি করবেন দেখবো।

সাইফুল হক বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে বর্তমান সরকার খেলছেন। এই খেলা চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিরোধীদল সভা সমাবেশ করতে পারবে। কিন্তু তারা জায়গায় জায়গায় হামলা করছে। বিরোধী দল যেখানেই সমাবেশ করে সেখানেই যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। সরকার ভয় পেয়েছে। তাই রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না বিরোধী দলগুলোকে। বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জ, ভোলা, মুন্সিগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায় মানুষ নিহত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জে পুলিশ বাধা প্রয়োগ করায় জনগণ প্রশাসনকে ঢাওয়া দিয়েছে। আত্মরখ্যায় পুলিশ নদীতে ঝাপ দিয়ে বেঁচেছে। প্রশাসন রক্ষা পাচ্ছেনা। আপনারাও পারবেন না। ধাওয়া দিলে বঙ্গোপসাগরে ঝাপ দিয়ে বাঁচতে হবে।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রায়ই বলেন বাংলাদেশে ৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। যারা এই সংবিধান বদলের কথা বলছেন, তাদেরকে সেই চিন্তা তিনি বাদ দিতে বলেছেন। আমরা বলি ২০১৪ কিংবা ২০১৯ সালে আপনারা যেভাবে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। সেরকম আরেকটি নির্বাচন সামনেও করবেন! এটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে আপনারাও এই চিন্তা বাদ দিন। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে আর বাংলাদেশের মানুষ যাবেনা।

রাশেদ খান বলেন, এই সমাবেশে যারা এসেছেন তারা লড়াই করতে এসেছেন। প্রয়োজনে জীবন দিতে এসেছেন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে পেতে আমাদের এই লড়াই। যেভাবেই হোক এই লড়াইয়ে বিজয়ী হতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close