অপরাধনারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে সালাম না দেওয়ায় কিশোর গ্যাং মামা ভাইগ্না গ্রুপের হামলা

সালাম না দেওয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্র সোলাইমানের ওপর হামলা চালিয়ে কিশোর গ্যাং মামা ভাইগ্না গ্রুপ। হামলায় স্কুল ছাত্র সোলাইমানসহ আরো দু’জন আহত হয়েছেন।

তারা হলেন আব্দুস সালাম (৬০) ও সিহাব (৫৫)। আব্দুস সালাম (৬০) ও সিহাব (৫৫) সোলাইমানকে বাঁচাতে গেলে তাদের উপর  হামলা চালিয়ে আহত করে কিশোরগ্যাং মামা-ভাইগ্না গ্রুপ।

স্কুল ছাত্র সোলাইমান গুরুতর আহত হয়ে এখন শয্যাশায়ী। এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি ও পাইনাদী এলাকায়।

মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী হাই স্কুলের সামনে গত বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা হলো ধনুহাজী বাড়ির সালমা বেগমের ছেলে সাজিম ওরফে কাইল্লা সাজিম, বাতানপাড়া এলাকার হিরণ বাদশার ছেলে আশরাফুল ও পাইনাদী এলাকার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে সৌরভ।

তাদের নেতৃত্ব দেয় সিদ্ধিরগঞ্জের আব্দুল আলী পুল এলাকার ইলিয়াস মোল্লা ওরফে ইলু’র ছেলে নীলয় এবং তার ইলিয়াস মোল্লা ওরফে ইলুর শ্বশুর বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিল। সম্পর্কে শাকিল ও নীলয় মামা-ভাইগ্না। 

স্কুল ছাত্র সোলাইমানের উপর হামলার ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের বাবা আব্দুল জলিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে সোলায়মানকে কিশোর গ্যাং লিডার সাজিম স্কুলের পাশের একটি গলিতে নিয়ে গিয়ে কিল ঘুষি দিয়ে শরীরের নানা অংশে জখম করে।

তিনি আরও জানান, আমার ছেলে মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। ওই দিন আমার ছেলেকে যেভাবে মারা হয়েছে এতে সে মারা যেতে পারতো। আমি চাই পুলিশ যেন এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, আমার বাসায় পাশে হঠাৎ শোরগোল আর চিল্লাচিল্লির আওয়াজ পেলে বাহিরে এসে দেখি ৫০/৬০ জন উঠতি বয়সি ছেলেরা মিলে একটি ছেলেকে বেদরম কিল ঘুষি দিচ্ছে।

বিয়ষটা দেখে তৎক্ষনাৎ কিশোর গুলোকে থামাতে গেলে সাজিম নামে একটি ছেলে আমার কলার চেপে আক্রমন করে। এসময় এলাকাবাসী এসে তাদের ছত্র ভঙ্গ করে দিলে তারা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, আমি যদি তাদের না ঠেকাই তাহলে আহত কিশোর সোলাইমান নিশ্চিত মারা যেতো। এছাড়া এ ছেলে গুলো খুবই উচ্ছৃঙ্খল। এরা কিশোর গ্যাং গ্রুপ বানিয়ে প্রায়ই এলাকায় মারামারি করে। প্রশাসন শক্ত পদক্ষেপ না নিলে এরা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাবে।

আহত কিশোর সোলাইমান জানায়, সালাম না দেওয়ায় তারা আমার বাবা ডাকছে বলে আমাকে স্কুলের পাশের একটি চিপা গলিতে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে ইচ্ছামত কিল ঘুষি মারতে থাকে। আশেপাশের কিছু আঙ্কেল আমাকে না বাচালে ওই আমি নিশ্চিত মারা যেতাম বলে জানায় ওই কিশোর।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোর গ্যাং এর মারামারির একটি ঘটনা ঘটেছে। কিশোর গ্যাং নির্মূলে সব ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত আছে। দোষীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারিনি তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close