জাতীয়

ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু ১ সেপ্টেম্বর – খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের বোরো সংগ্রহের শেষ সময়। আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবার বা চার কোটি মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছি। পাশাপাশি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু করা হবে। এটি চালু হলে চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে।

তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে দুই হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে এই চাল বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও চালু করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, কারণ সামনে আমন উঠবে। সেই আউশ ওঠার জন্য আমরা বসে থাকব না, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের বোরো সংগ্রহের শেষ সময়। আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবার বা চার কোটি মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছি।’

তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুত আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুত করি। যারা এ চাল নেবে তাদের তো বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এখন দুটি মৌসুমের সন্ধিক্ষণ, বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষ আমন লাগানো নিয়ে ভয়-ভীতিতে আছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। পরিবহন খরচের হারের চেয়ে চালের দামটা বেশি বেড়েছে। সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছে। এটা পরিষ্কার কথা, আমাদের অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে সেটাও আমরা মনিটরিং করছি। অবৈধ মজুতের বিষয়ে আমাদের তো নিয়মিত মনিটরিং আছেই। সেটা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে মাঠে নামতে বলেছি। পাঁচটি মনিটরিং কমিটি হয়েছে আগেই, সেগুলো সক্রিয় হবে। জেলা প্রশাসকদের এখানে বসেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে বাজারটা পুরোপুরি মনিটরিং করেন। কোথাও অবৈধভাবে ধান ও চালের মজুত থাকলে আগে যেভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়েছে, সেভাবে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close