নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক: রফিউর রাব্বি

‘ধর্মকে হাতিয়ার করে মুসলমানদের বিরুদ্ধ দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকার যেমন ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে, ঠিক তেমনই এই আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে। সুতরাং এই মোদি সরকার আর হাসিনা সরকারের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে এটা আমাদের বুঝতে হবে। ভারতের বিজেপির চরিত্র আর বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের চরিত্রের পার্থক্যটা কী? এই টা আজকে আমাদের হিসাব করতে হবে।’

নড়াইলের মির্জাপুর ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হেনস্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা রফিউর রাব্বি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সেখানে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘তারা মুখে বলে অসাম্প্রদায়িক সরকার, মুখে বলে ‘৭১ এর সরকার, কিন্তু প্রকৃত অর্থে এরা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষোক। ভোট এলেই হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। আর ভোট শেষ হলে, নদী পার হয়ে গেলেই তাদের আসল চেহারা দেখা যায়। কী আওয়ামী লীগ, কী বিএনপি তারা সব এক চরিত্রের।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম ধর্মের ভাবে চলবে, বিজ্ঞান বিজ্ঞানের ভাবে চলবে। এটাকে গুলিয়ে ফেলার কোন কারণ নাই। এটা একটি ষড়যন্ত্র, যখন সারাদিশ্বে একটি বার্তা দেয়, একজন শিক্ষককে জুতার মালা দিয়ে গুড়ায়, এমন একটি দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। তাহলে এর পরিচয় কি দাঁড়ায়। এটা একটি বর্ররদেশ। আপনি কয়টা পদ্মা সেতু দিয়ে এই দুর্নাম, গুচাবেন? ক্ষমতায় টিকে থাকতে মানুষের বিতরে যে অন্ধকার আত্মা দিনে দিনে তৈরি করছেন, তা গুছাবেন কি ভাবে। আজ পর্যন্ত আমরা দেখি নাই ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষকদের লাঞ্চিত করা হয়েছে, মিথ্যা প্রমান হওয়ার পরেও, তারা নির্দোষ হওয়ার পরেও তাদের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জের ২০১৬ সালে এক শিক্ষককে লাঞ্চিত করার পরেও সেলিম ওসমান যেমন আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে গেছেন, ঠিক তেমনি সারা দেশের এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি জঙ্গিরা বেবিয়ে যাচ্ছে। আর তাদেরকে সহযোগিতা করছে এই সরকার।’

রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ভোটের সময় হয়তো আওয়ামী লীগ সরকারের জনগণের দরকার পরে না। ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে লাগেনি। সেনাবাহিনী, প্রশাসন, আমলা, এটাই ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে। সুতরাং, জনগণ বিরুদ্ধে গেলেই কি আর থাকলেই কি। আমি বললো এটি শেষ কথা না। আমলারা, সেনাবাহিনীরা, পুলিশরা সরকারকে ক্ষমতায় পাহাড়া দিয়ে রাখতে পারে না। আমলাদের শক্তি, সেনাবাহিনীর শক্তি, পুলিশের শক্তি কখনোই জনগণের শক্তির চেয়ে বেশি না। ইতিহাসেও বারবার, এটাই প্রমান হয়েছে। তাই আজকের মানববন্ধন থেকে বলতে চাই, নড়াইলের ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, কিভাবে তাদের উপস্থিতিতে একজন শিক্ষককে হেনস্ত করা হয়।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close