নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিবাদে গণসংহতি’র বিক্ষোভ

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেছেন, ‘আওয়ামী শাসন আমলে গত ১১ বছরে ১০বার বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছেন, যা সংখ্যায় ১১৮ শতাংশ বৃদ্ধি। সরকারের জ্বালানী খাতে অপচয়, সিস্টেম লস, লুণ্ঠনের দায়ভার জনগণ কেন নিবে!

প্রধানমন্ত্রী প্রায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দেন, যা তার সীমাহীন ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা বলতে চাই, এদেশ জনগণের টেক্সের টাকায় চলে, আপনাদের দান খয়রাতে নয়। নাড়ী কাটার ব্লেড থেকে শুরু করে কাফনের সাদা কাপড় পর্যন্ত আমরা টেক্স দেই। যেই টেক্সের টাকায় আপনাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ হয়। সুতরাং বাহাদুরী করবে না, এটা আপনাদের জমিদারি না। জনগণের আয় না বাড়িয়ে, বিদ্যুতের মূল্য এক টাকাও বাড়তি সহ্য করা হবে না।’

আজ ২০ মে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে বিদ্যুৎ, জ্বালানীসহ নিত্যপাণ্যে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যাদেরকে জান-মাল রক্ষায় দায়িত্ব দিয়েছে তারাই জনগণের বিপক্ষে গিয়ে একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে। আওয়ামীলীগ সরকার পুলিশ প্রশাসনকে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কাজে ব্যবহার করছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তারা দিনের ভোট রাতে করেছে। মানুষ ভোট দিয়ে গিয়ে দেখেছে ভোট হয়ে গেছে।’

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করবেন তারা ফ্যাসিজমের দোসর। তারা আওয়ামী লীগের সহযোগি। তারা গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকারকে নানাভাবে পিছনে টেনে ধরতে চান। প্রত্যেকটি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন রাত মানুষকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে । মানুষ অতিরিক্ত পরিশ্রম করেও এক টাকাও সঞ্চয় করতে পারছে না। তার সমস্ত সঞ্চয় সরকার লুটে নিচ্ছেন। আজ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দেশ প্রেমিকের কাজ। আর যারা ইনিয়ে-বিনিয়েসহ নানান কায়দা-কানুনে আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকবে তারা দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে বাধাঁ তৈরি করছে। গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা আজ সময়ের সবচেয়ে জরুরি এবং ন্যায্য লড়াই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী সংহতির নেত্রী পপি রাণী সরকার, জেলা কমিটির নেতা আওলাদ হোসেন, নাজমা বেগম, এমদাদ হোসেন, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহদী হাসান উজ্জ্বল, ফতুল্লা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, কাঁচপুর কমিটির সংগঠক এম এ আসলাম শিকদার প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close