আইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদর
ফতুল্লায় আলমগীর হত্যায় পুলিশের গাড়ি আটকে আসামিদের মুক্তি দাবি

ফতুল্লার বক্তাবলীতে আলমগীর হত্যার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তির দাবিতে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। রোববার (৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী রাজাপুর চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে অংশ নেয় আলমগীর হত্যার প্রধান আসামী ফারুক মেম্বারের স্ত্রী আইরিন আক্তার সহ স্থানীয়বাসী।
জানাযায়, সকালে নিহত আলমগীর হোসেনের বাড়িতে পুলিশের দুটি গাড়িতে তদন্তে যান নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল নাজমুল হাসান, ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম।
সেখান থেকে ফেরার পথে পুলিশের ওই কর্মকর্তাদের বহনকৃত দুটি গাড়ি আটকে দেয় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য (সম্প্রতি র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত) ফারুক মেম্বারের সমর্থনকারী স্থানীয়বাসী।
এসময় ফারুক মেম্বারের স্ত্রী আইরিনকে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু বলেন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে। কোন অপরাধী ছাড় পাবেনা। আমাদের কাজে বাধা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপর তাৎক্ষনিক পুলিশের গাড়ির সামনে থেকে বিক্ষোভকারীরা সরে যায়।
ফারুক মেম্বারের স্ত্রী আইরিন বলেন, আলমগীর দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ছিল। সে চাঁদার দাবীতে লক্ষীনগর এলাকায় ২১মার্চ দুপুরে ফারুক মেম্বারকে হত্যার জন্য ছুরিকাঘাত করেছে। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে আলমগীরকে গনধোলাই দিয়ে মেরে ফেলেছে। এজন্য ফারুক মেম্বার দায়ী নয়।
আলমগীরের ছুরিকাঘাতে ফারুক মেম্বারের মাথায় প্রায় ১৩/১৪টা সেলাই করা হয়েছে। সে বর্তমানে অসুস্থ্য। এরমধ্যে র্যাবের একটি দল ১ এপ্রিল আত্মীয়র বাসা থেকে ফারুক মেম্বার ও তার আত্মীয় আব্দুলকে গ্রেফতার করেছে। আমি তাদের মুক্তির দাবী জানাই।
এদিকে ৩০মার্চ আলমগীরের স্ত্রী মিনু আক্তারের আহাজারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে মিনু আক্তার বলেছিলেন, তার সামনে তার স্বামী আলমগীরের চোঁখ তুলে নেয় এবং পায়ের রগ কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে ফারুক মেম্বার ও তার লোকজন। সে প্রান ভিক্ষা চেয়েও স্বামীকে উদ্ধার করতে পারেনি।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) তারিকুল ইসলাম জানান, মিনু আক্তারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয় তদন্তে গিয়ে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল নাজমুল হাসান।
সেখান থেকে থানায় ফেরার পথে ফারুক মেম্বারের স্ত্রীসহ কিছু লোকজন গাড়ির সামনে দাড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে। পরে তাৎক্ষনিকই আবার ছেড়ে দিয়েছে।