নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদরবন্দররাজনীতিসোনারগাঁও
নারায়ণগঞ্জে বেফাঁস বক্তব্যের জেরে ৩ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

স্মারকলিপি জমা দেওয়া শেষে এসপি জায়েদুল আলম বলেন। বঙ্গবন্ধু নিয়ে কটুক্তির বিষয়ে কোনো ছাড় নাই। যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর মামলা করার জন্য পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আহ্বান করেন।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ স্বারকলিপিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবেন বলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন যারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধামন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে আমরা সেটা সহ্য করবো না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা ডিসি, এসপির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরাও তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রতিক নিয়ে বিজয়ী লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বারদীর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ওয়াজ মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেফাঁস বক্তব্য দিয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনাকে আসতে হলে তার হুকুম লাগবে। তার এ বক্তব্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এই বক্তব্যের পরপরই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে এবং স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে চিনি না শেখ হাসিনাকে চিনি না। তার এ অশালীন বক্তব্যের কারনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ বক্তব্যের ফলশ্রুতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ মনে করে দেলোয়ার হোসেন স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে।
আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা মনে করে সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।
এছাড়াও আলীরটেক ইউনিয়নের নৌকার প্রতিক নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আমি নৌকা প্রতিক না নিলে তার চেয়েও বেশি ভোটে নির্বাচিত হতাম।
এ তিন চেয়ারম্যানের বক্তব্যের কারনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দাবি তাদের এ বেফাঁস বক্তব্যের জন্য এই তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।