নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে দেওভোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গালি দেয়ায় সাধারণ সম্পাদককে অবরুদ্ধ করে তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের অন্যতম মাদ্রাসা জামিয়’আ আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গালি দেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছে।
মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজ নিয়ে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গালি দিলে ছাত্ররা শাহনেওয়াজকে অবরুদ্ধ করে তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শাহনেওয়াজ অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন। পরে তাকে বের হয়ে যেতে দেন ছাত্ররা। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদের অভিযোগ, শাহনেওয়াজ প্রায় সময় মাদ্রাসার নানা উন্নয়ন কাজে প্রভাব বিস্তার করেন। অনেক কাজ তিনি বাধাগ্রস্থ করেছেন। তার আচরণও সন্তোষজনক নয়।
শাহনেওয়াজ জানান, আমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। আমি আর কখনো কোনদিন এই মাদ্রাসায় আসবোনা এবং আর কোন কার্যক্রমেও অংশ নেবনা।
তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের জিহাদী জানান, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ছাত্রদের চাপে নয় নিজেই তার ভুল বুঝতে পেরে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে, মাদ্রাসার দুটি ভবন সড়কের দুপাশে হওয়ায় ছাত্রদের রাস্তা পারাপার হতে অসবিধা হয়। ছাত্রদের দাবি প্রেক্ষিতে একজন দানবির দুটি ভবনের উপরে সংযোগ ব্রিজ/ সিড়ি করার সকল মালামাল ব্যবস্থা করে দেন। এটির কাজ শুরু করা নিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে বৈঠকে বসেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ।
তিনি এ কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কাজ করার কথা বলার এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের জিহাদীকে গালি দেন। বিষয়টি দ্রুত মাদ্রাসায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা তাকে অবরুদ্ধ করে তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে শাহনেওয়াজ অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন। পরে তাকে বের হয়ে যেতে দেন ছাত্ররা।