নারায়ণগঞ্জফতুল্লা
ফতুল্লায় ট্রলার ডুবির ৬ষ্ঠ দিনে আরো ৩ জনের লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে আরো ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সোমবার সকালে লাশগুলো ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে। ভেসে উঠা লাশের নাম (৮) আব্দুল্লাহ (২৪) ও সামছুদ্দিন (৬২) জানা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি। প্রত্যেকটি লাশ দূর্ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন।
এরআগে পঞ্চম দিন রোববার সকালে ৪ জনের লাশ ও সন্ধ্যায় আরো ২জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো উদ্ধার হয়নি ডুবে যাওয়া ট্রলারটি।
রোববার ভেসে ওঠা লাশের মধ্যে রয়েছে ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), ফতুল্লার চর বক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ(১৮), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর মৃত. আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০)।
উল্লেখ, গত বুধবার সকালে ফতুল্লার চটলার মাঠ এলাকায় লঞ্চের ধাক্কায় ৪০/৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৯ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এম ভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানি সহ ৩জনের বিরুদ্ধে দায়ীত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ৫ জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এম.ভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৯জন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হয়।
লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লার (৩০) দায়ীত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।