ঢাকানারায়ণগঞ্জফতুল্লা

ফতুল্লায় ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের

ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রলারে থাকা নিখোঁজ ১০ যাত্রীর সন্ধান তিন দিনেও মিলেনি। ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশ পৃথক ভাবে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে নদীর উভয় তীরে স্বজন হারানো নিখোঁজের আত্মীয় স্বজনরা ধৈর্য্যহারা হয়ে উঠছে। অপেক্ষায় তিনদিন ধরে এক কাপড়েই বসে আছেন অনেকেই।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তদর্ন্ত কমিটিকে আগামী দশ কার্য দিবসের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। যতোক্ষন ট্রলার ও নিখোঁজ ১০ জনের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এম,ভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানি সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ৫ জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকা গামী এম.ভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়।

এসময় ৮ জন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হয়। লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মোঃ জসিম মোল্লার (৩০) দায়ীত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close