জাতীয়নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালরাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ

নাসিক নির্বাচনে তৈমূর আলম কারও শেখানো কথা বলছে দাবী আইভীর

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, যে প্রার্থী সবুজায়নের কথা বলে জলাশয় ভরাট করতে চায়, আপনাদের বুঝতে হবে তিনি দ্বৈত কথা বলছে। তিনি ( তৈমূর আলম) কারও শেখানো কথা বলছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাস্তব উন্নয়নটা জানেন না এবং তিনি বুঝে উঠতে পারেননি নারায়ণগঞ্জে কি কি কাজ হচ্ছে।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ৭ নং ওয়ার্ডে প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দাকারকে উদ্দেশ্যে কে তিনি এসব কথা বলন।

আইভী বলেন, আমি বিগত পাঁচ দিন যাবৎ প্রচারণা চালাচ্ছি। আমি যেখানেই যাচ্ছি মুক্তিযোদ্ধা, এলাকাবাসী, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ দল মতের উর্ধে উঠে আমার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাতে বরাবরই সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। যে প্রার্থী বলেছেন তিনিও জানেন যে নারায়ণগঞ্জে সবসময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। আমি বিশ্বাস করি এবং নির্বাচন কমিশনকেও অনুরোধ করবো বিগত সময়ে যেভাবে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। তারা যেন আমাদের এইরকম সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটা ওয়ার্ডে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে প্রচুর কাজ হয়েছে। আমি কখনও মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি অন্যায় কাজ করিনি চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী করিনি। সবকিছু মিলিয়ে জনগন আমাকে রায় দিবে।

তিনি বলেন, যে কাজগুলো চলমান সেগুলো শেষ করা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের চাহিদামত কাজ করে দেয়া মাঠ করা শিশু বান্ধব নগরী করাই আমার প্রাধন্য। এদিকে একটা বড় খাল খনন হচ্ছে। এটা সাড়ে পাচ কিলোমিটার, এটার কাজ এখনও চলমান। এরকম চলমান কাজগুলো সম্পন্ন করাই আমার মূল লক্ষ্য। আমি যে ওয়ার্ডে দাড়িয়ে আছি এখানে বড় একটা কবরস্থান আছে পুকুর আছে। তাদের দাবী ছিল কবরস্থান ঠিক করা পুকুর সংরক্ষণ ও একটা ঈদগাহ করে দেয়া। কবরস্থানের কাজ করেছি, পুকুরের কাজ চলছে এবং ঈদগাহের টেন্ডার হয়ে গেছে। আমার এবারের স্লোগান সবুজ শ্যামল নারায়ণগঞ্জ। এই সবুজ শ্যামল নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি জনগনকে আমার পানির সুব্যবস্থা করে দিতে হবে।

আইভী বলেন, খালের ব্যাপারে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বলেছেন যে সড়ক ও জনপদ বিভাগ আমাকে বাধা দিয়েছে। হ্যা, তারা বাধা দিয়েছে। তারা এ খাল ভরাট করে রাস্তা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি মিটিংয়ে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলেছি যে যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলাশয় সংরক্ষণ করতে চাচ্ছে সেহেতু আপনি জলাশয় ভরাট করে রাস্তা করতে পারবেন না। জলাশয়ের ওইপাশে অনেক জায়গা আছে। সেদিক দিয়ে রাস্তা করেন আমি জলাশয়টা সৌন্দর্যবর্ধন করে দিব। সেই মোতাবেক আমি এখানে জলাশয় সংরক্ষণ করছি গাছ লাগাচ্ছি। ওই মিটিংয়ের পর তারা আমাকে বাধা দেননি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close