নারায়ণগঞ্জরুপগঞ্জ

র‌্যাব-১১’র অভিযানে রূপগঞ্জের সাব্বির হত্যা মামলার ৩ আসামী গ্রেপ্তার

র‌্যাব-১১’র অভিযানে রূপগঞ্জের সাব্বির হত্যা মামলার ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর গ্রামের মো. আশরাফুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) গ্রেপ্তারকৃতদের রূপগঞ্জ থানায় হস্থান্তর করে র‌্যাব।

এর আগে বুধবার রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচল এলাকার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত রডের সাথে পেঁচানো জিআই তার ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মো. সাব্বির আহমেদ (১৭) কে হত্যা করে। গ্রেপ্তারকৃত হত্যাকারী ৩ জন ও ভিকটিম মো. সাব্বির আহমেদসহ কুড়িগ্রাম জেলার মোট ১৫ জনের একটি দল দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিল। গত ২০ নভেম্বর নির্মাণাধীন ভবনে তাদের কাজ শেষ হয়।

২১ নভেম্বর মজুরী গ্রহণ পূর্বক তাদের যার যার মত বাড়ীতে যাওয়ার কথা ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের ভাষ্যমতে সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গত ২০ নভেম্বর তাদের নির্মাণ কাজ শেষে সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান ৩ জনে মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরে তারা হত্যায় ব্যবহৃত লোহার ছোট রড ও জিআই তার জোগাড় করে ফাঁস বানায়। এরপর আনুমানিক রাত ৮ঘটিকার দিকে হত্যাকারী আশরাফুল ভিকটিম সাব্বিরকে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে ৭ ম তলায় নিয়ে যায় এবং অপর দুই হত্যাকারী আনিস ও মিজান তাদের পিছুপিছু ৭ম তলায় যায়।

অতঃপর কথোপকথনের এক পর্যায়ে অতর্কিত ভাবে তারা ভিকটিম সাব্বিরকে হামলা করে এবং একজন ভিকটিম এর গলায় থাকা গাঁমছা দিয়ে ভিকটিম এর মুখ, নাক ও চোখ বেঁধে ফেলে, একজন ভিকটিমের পরিধেয় শার্ট দিয়ে হাত বেঁধে ফেলে।

এবং অপর জন লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁছিয়ে ভিকটিম এর শ্বাস রোধ করে পারস্পারিক সহযোগিতায় ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা লাশটি টেনে একই তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শীট দিয়ে ঢেঁকে রাখে।

এদিকে ঘটনার পরের দিন সাব্বিরকে তার সহকর্মী নির্মাণ শ্রমিকরা দেখতে না পেয়ে সবাই মিলে খোঁজাখোজি শুরু করে এবং দুপুরের দিকে নির্মাণাধীন ভবনের ৭ম তলায় সাব্বির এর লাশ খুঁজে পায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close