আন্তর্জাতিকজাতীয়
ভাড়া বাড়ানোর দাবি অযৌক্তিকঃ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

পাচার রোধে দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলে দাবি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। তেলের দাম বাড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণকে জিম্মি করে ভাড়া বাড়ানোর দাবি অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সকালে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক।
এছাড়া হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেল মজুত করে রাখার শঙ্কা থেকেই দাম বাড়ার বিষয়টি আগে জানানো হয়নি।এসময় তিনি আরো জানান, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।
২০১৬ সালে তেলের দাম কমানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, বিশ্ববাজারে আবার দাম কমলে দেশেও কমানো হবে। এছাড়া, তেলভিত্তিক যানবাহন থেকে সরে এসে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন নসরুল হামিদ।
এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক শ্রমিক সমিতির নেতারা। পরে সমিতির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব জানান, যৌক্তিক সমাধান মিললে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় সরকার উচ্চহারে তেল বিক্রি করে গত ৬ বছরে ধরে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। ২৩ শতাংশ তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও দাবি তাদের।
তেলের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও অবৈধ এবং পরিবহন মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর দাবিও অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি। জ্বালানি খাতে মূল্য না বাড়িয়েও ৬ হাজার কোটি টাকা বছরে ভূতর্কি দেওয়ার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে বলেও দাবি সমিতির মহাসচিবের।