জাতীয়
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রার্থিতা বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সিইসি মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হয় মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেই তাদের ওঠা-বসা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভালো প্রার্থী তুলে নিয়ে আসার জন্য মাঠ প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। ভালো প্রার্থীর নির্বাচন করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের বেশি।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ইউপি একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। সেই ১৭৮৭ সাল থেকে ইউপিতে ভোট হয়ে আসছে। উত্তেজনায়, খুন-খারাবি এখানে আগে থেকেই হয়। তবে এটা কাম্য নয়। অযাচিত ব্যক্তি, সন্ত্রাসী এদের চিহ্নিত করতে আপনাদের গোয়েন্দা আছে, এমনকি চকিদার-দফাদার আছে। তাই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিলে সমস্যা হয় না। দল-মত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাঠ প্রশাসনে লোকবলের সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনগুলো পুঞ্জিভূত হয়ে গেছে। একসঙ্গে আমাদের বেশি করে নির্বাচন করতে হচ্ছে। কেননা, নির্বাচন ডিউ রয়ে গেছে। পেছানোর সুযোগ নেই। তাই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চাপ বেশি হয়ে গেছে। সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট সংকট কাটাতে যারা মন্ত্রণালয়ে বা অন্য দফতরে কাজ করছেন, তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় ইসির ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে থাকে। তাই তেমন কোনো ঘটনার সৃষ্টি হলে মাঠ প্রশাসনের সহায়তায় তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কোনো কেন্দ্রে ভোট নেওয়ার সম্ভব না হলে ভোট বন্ধ করে দেবেন। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এলে আমরা একঘণ্টা দেরি করি না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কোনো অভিযোগ যদি রিটার্নিং কর্মকর্তারা মাধ্যমে আসে, আমরা তা ফাইলবন্দি করে রাখি না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিই। যদি কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা আমাদের আছে। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে হবে।
আজ দুপুর ১২টা থেকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে সোয়া দুই ঘণ্টাব্যাপী ভার্চ্যুয়াল এ বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সিইসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।