জেলা/উপজেলানারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ
সিদ্ধিরগঞ্জে এমরান, হাবিব মোল্লা, ছক্কুসহ ৪জনের নামে থানায় মামলা

সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইল এনায়েত নগরের প্রতারক মাদকাসক্ত এমরানের টর্চার সেল থেকে আহত অবস্থায় ডিশ মিস্ত্রী মিলনকে গত সোমবার উদ্ধার করেছে তার স্ত্রী মুক্তা। এ ঘটনায় মিলন মাদকাসক্ত প্রতারক এমরান, গিরিঙ্গির মাষ্টার এমরানের গুরু হাবিব মোল্লা, এমরানের সহযোগী মাদক, হত্যা, ধর্ষনসহ একাধিক মামলার আসামী আবুল কালাম ছক্কু ও সুমনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার নাম্বার-৯২০১। মিলনের করা অভিযোগটি আমলে নিয়ে ০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলা নং- ২৫/৩১৩। মামলার আসামিরা হলো এমরান হোসেন (৩৫), ছক্কু (৩৪), সুমন (৩৫) ও হাবিব মোল্লা (৪৮)। মামলায় আহত মিলন উল্লেখ করেন, আজিজুল্লাহ কাজীর ছেলে এমরান, ভুইয়াপাড়ার মৃত আলকাছ ভুইয়ার ছেলে আবুল কালাম ছক্কু, এনায়েতনগরের নুর ইসলামের ছেলে সুমন ও এনায়েতনগরের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে হাবিব মোল্লা এই চারজন আসামীর মধ্যে এমরান গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ফোন করে এনায়েতনগরে এমরানের টর্চার সেলে নিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মিলন গিয়ে দেখতে পায় আবুল কালাম ছক্কু, সুমন ও হাবিব মোল্লা দাড়িয়ে আছে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মিলনকে রড দিয়ে এলোপাথারি মারধর করতে থাকে। এমরান মিলনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মিলনের গলায় ধারালো ছুরি ধরে ড্রয়ার থেকে খালি ষ্ট্যাম্প বাহির করে সই করতে বলে, এমনকি ড্রয়ারে থাকা ইয়াবা দেখিয়ে আমাকে বলে এই ইয়াবা দিয়ে আমাকে পুলিশে হস্তান্তর করবে। আবুল কালাম ছক্কু আমারে রড় দিয়ে আঘাত করে এবং পুরো শরিরে তল্লাশী করে আমার পকেটে থাকা প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ছিনিয়ে নেয়। আমি যদি এ ব্যাপারে কারো কাছে অভিযোগ করি তাহলে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দেয় ছক্কু। সুমন ও হাবিব মোল্লা আমাকে রশি দিয়ে বেধে মারধর করার নির্দেশ প্রদান করে। অভিযুক্ত এই চারজন এমরানের টর্চার সেলে সারারাত বেধে নির্যাতন করে। এদিকে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রী মুক্তা খোঁজ করতে করতে এমরানের অফিসে যায়। সেখান থেকে এমরানের পায়ে পড়ে হাত পা বাধা অবস্থায় আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় মিলনকে তার আত্নীয়স্বজন হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানা যায়। আহত মিলনের পিতার নাম আনোয়ার হোসেন। কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, এমরান একজন মাদকাসক্ত প্রতারক। সে তার অফিস নামে টর্চার সেলে প্রতিদিন মাদক সেবনসহ সন্ত্রাসীদের নিয়ে আড্ডা দেয়। ইতিমধ্যে এমরানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ সভা করেছেন। স্থানীয় আ’লীগ ও মুসল্লিরাও মানববন্ধন করেছেন। পাশাপাশি এমরানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট এলাকার অশান্তি সৃষ্টিকারী ও মসজিদ কমিটি নিয়ে প্রতারণা সহ বিভিন্ন অপকর্ম তদন্ত সাপেক্ষে তার সমস্ত অপকর্মের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে মামলা তুলে নিতে বাদী মিলনকে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।