জেলা/উপজেলানারায়ণগঞ্জসারাদেশসিদ্ধিরগঞ্জ
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে মসজিদের মোতাওয়াল্লী পদ নিয়ে ইমরান হোসেনের বোমার নাটক
ইমরানকে ২১দিনের মধ্যে জবাব দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার:সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এনায়েতনগর পশ্চিমপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী পদ নিয়ে ডিশ ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বোমার নাটক সাজিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে গোমড়া করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। শান্তিপূর্ন এনায়েতনগর এলাকায় পিস্তল ও বোমার নাটক সাজিয়ে এলাকার পরিবেশ অশান্ত করার পায়তারা করায় ইমরানের উপর এলাকাবাসীর চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে অবৈধভাবে মোতাওয়াল্লী পদ দখলদারী ইমরানগংদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সুলতান মাহমুদগং। যার নাম্বার ৫৯/২০২১ইং। মামলার প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন মহামান্য হাইকোর্ট ইমরান হোসেনগংদের কাছে ২১ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন যে কেন তাদের কমিটির কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবেনা। এই নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে হাইকোর্টে কারন দর্শানোর আগেই এলাকার শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করতে ইমরান হোসেন তার ডিশের অফিসকে সাংবাদিকের অফিস বলে ভাঙ্গার নাটক সাজিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে গোমড়া করার চেষ্টা করছে বলে এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানানয়।
এ ব্যাপারে গতকাল গোদনাইল ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার সম্পাদক সেকান্দার প্রধান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুলতাম মাহমুদ আ’লীগ নেতা জলিল মোল্লা, মোবারন হোসেনের সাথে সাংবাদিকরা কথা বললে তারা জানান, স্বাধীনতার পর গোদনাইল এনায়েতনগর এলাকায় আজ পর্যন্ত কোন বোমার ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া ঘনবসতি এলাকায় পিস্তল নিয়ে হামলার ঘটনাও নাটক ছাড়া কিছু নয়। আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রেষ্ট কাউন্সিলর, তিনি এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে বছরকে বছর কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে আজ বোমার ঘটনা, পিস্তলের নাটক আমাদের সমাজের সুনাম নষ্ট করেছে। পুলিশকে মিথ্যে বুঝিয়ে তাদেরকে গোমড়া করার চেষ্টা করছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। তারা আরো বলেন, অবৈধ মোতাওয়াল্লী ইমরানগং মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে এই জঘন্য নাটক সাজিয়েছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। সে ভেবেছিলো আজ শুক্রবার আমরা মসজিদে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কথা মুসল্লিদের জানাবো। সেই কারনে চক্রান্ত করে মিথ্যে বোমা ও অফিস ভাঙ্গার নাটক সাজিয়ে পুলিশ দিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে।
এদিকে এমরান হোসেনের অভিযোগ, হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত দুই দুর্ষ্কৃতকারী গত বৃহস্পতিবার এমরানের অফিসে গিয়ে তাকে গালাগালি করতে থাকে। পরে অফিসে থাকা কেয়ারটেকারকে গালাগালির প্রতিবাদ করলে তাঁকে পিস্তল দেখিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়ে সাংবাদিক এমরানকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আসার জন্য বল প্রয়োগ করে। অফিসের অদূরেই সাংবাদিক এমরানের বাড়ি। অফিসে থাকা কেয়ারটেকার সাংবাদিক এমরানের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানানোর একটু পরেই গ্লাস ভাংচুরের শব্দ পেয়ে সাংবাদিক এমরান বাড়ি থেকে অফিসের সামনে আসে। তখন এলাকার কিছু লোক সিএনজি দিয়ে আসা দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সাংবাদিক এমরান হোসেনের বলে, অফিসের গ্লাস ভাংচুর করা এবং অফিসের সামনে বোমা সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পাই। অফিসের ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই সিসিটিভি ক্যামেরার ডিডিআর ও হার্ডডিস্ক নাই। তাই সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া সম্ভব হয়নি। ইমরানের এই কথা পুরো নাটক বলেন গতকাল জুম্মার নামাজের পর স্থানীয় মুসল্লিরা কয়েকজন সাংবাদিককে জানান। মুসল্লিরা বলেন, ঘনবসতি এলাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। দিন-রাত সর্বদাই মানুষের আনাগোনা। সেখানে এই ধরনের কাজ অসম্ভব। ইমরান তার পুরো এলাকায় ১৯টি সিসি ক্যামরা বসিয়েছে। এখন যদি সিসিটিভি ক্যামেরার ডিডিআর ও হার্ডডিস্ক চুরির নাটক না সাজায় তাহলে এলাকাবাসী বলবে এমন কোন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। যার প্রমান ইমরান হোসেনের সিসি ক্যামরা চেক করেন। সিটি ক্যামরা চেক করলে ইমরানের নাটক ধরা পড়ে যাবে তাই, যাতে সিসি ক্যামরায় তার মিথ্যে অফিস ভাংচুর, বোমা ও গুলির নাটক ধরা না পড়ে যায় তাই আগে থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরার ডিডিআর ও হার্ডডিস্ক চুরির নাটক সাজিয়ে পুলিশকে গোমড়া বানানোর চেষ্টার লিপ্ত ইমরান। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।