নারায়ণগঞ্জ

গাছ রক্ষার দাবিতে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে সামাজিক বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়কারী কবি আরিফ বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি ও পরিবেশ সংগঠক এবি সিদ্দিক, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের সাবেক সভাপতি শিল্পী অমল আকাশ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, গাছ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব শুভ দেব, সংস্কৃতি কর্মী জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর অংশ প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা। আইন অনুসারে এই এলাকার প্রাকৃতিক গাছপালা কাটা কিংবা আহরণ এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসকারী সকল প্রকার কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ সম্প্রতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নতুন স্থাপনা ও গাড়ি পার্কিং নির্মাণের জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর তিন নম্বর মাছ ঘাট এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলেছে।

এছাড়াও তারা মাছ ঘাটের প্রাচীন বটগাছটিও কাটার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে বট গাছটির গাছের প্রায় সকল শাখা ও কাণ্ডের একাংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে করে ওই এলাকার পাখপাখালি, পোকামাকড়সহ গাছগুলির উপর নির্ভরশীল অসংখ্য প্রাণ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। পাশপাশি প্রাচীন বটগাছটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা শহরের সাংস্কৃতিক পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যথাযথ হস্তক্ষেপ আশা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন। নারায়ণগঞ্জের প্রাণ শীতলক্ষ্যা নদী নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণের হক আদায় করতে চাই। সেক্ষেত্রে আমরা ৩নং ঘাটের গাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমরা মনে করি প্রকল্প মানুষের সুবিধার্থে গড়ে উঠে। কিন্তু যে প্রকল্পে হাজারও প্রাণ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, মানুষের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটা কখনোই উন্নয়ন হতে পারে না। তাই অবিলম্বে শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। যে গাছগুলো ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ আরও গাছ রোপণ করতে হবে এবং নির্ধারিত এরিয়ার ভেতর অবস্থিত গাছগুলোকে না কেটে এগুলোকে পরিকল্পনার মধ্যে রেখেই নতুন প্রকল্পের কাজ হাতে নিতে হবে।

অন্যথায় নারায়ণগঞ্জবাসী এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সামাজিক বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নেতৃবৃন্দের কথা শোনেন এবং এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান। ৩নং মাছ ঘাটের প্রাচীন বটগাছটি আর কাটা হবে না বলে তারা আশ্বস্ত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close