জাতীয়নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

শামীম ওসমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অল থ্যাঙ্কস টু ইউ’

সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (নাসিক) ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন শামীম ওসমান। নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্যের ভূমিকা নিয়ে তার প্রতিপক্ষরা নানা অপপ্রচার চালায়। কিন্তু নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছেন।

শামীম ওসমান বলেন, একজন মা যেভাবে সন্তানকে দোয়া করেন আমাকে ঠিক সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী দোয়া করেছেন। তার সেই দোয়ার পর আমার সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে। এছাড়া দোয়ার আগে তিনি সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কৃতিত্ব শামীম ওসমানকে দিয়ে বলেছেন, ‘অল থ্যাঙ্কস টু ইউ’।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশন চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শামীম ওসমান নিজেই জানিয়েছেন। বিষয়টি শুরুতে চাপা থাকলেও গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধে অবশেষে তিনি স্বীকার করেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শামীম ওসমান বলেন, বিরতির সময়ে আমি তার (প্রধানমন্ত্রীর) পেছনের দিকে বসা ছিলাম। ওই সময়ে আমার পাশে আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, চীফ হুইপ, মতিয়া আপা, শেখ সেলিম ভাই বসা ছিলেন। এছাড়া সেখানে কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপিরা ছিলেন।

 

এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাঁকান। তখন আমাকে দেখে বলেন, ‘অল ক্রেডিট গো’স টু ইউ’।

 

শুরুতে আমি ভেবেছিলাম হয়তো আইনমন্ত্রীকে এ কথা করে বলেছেন। যেহেতু আজকে একটি আইন পাশ হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণে তিনি আমাকে ইঙ্গিত করে আবার বলেন, ‘সমস্ত থ্যাঙ্কস আমার শামীম ওসমানকে।’

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, করোনার কারণে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ৫ থেকে ৭ ফুট কাছে কেউ যেতে পারে না। আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার পরে আমি কাছে যাই। তখন চিফ হুইপ তার চেয়ারটি আমার জন্য ছেড়ে দেন। কাছে পেয়ে আমি আমার কিছু কষ্টের কথা বলি। আমার বাবা মা ও ভাইদের কিছু ঘটনা (কবরস্থানে শশ্মানের মাটি ফেলা) কষ্ট শেয়ার করি।

 

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কষ্ট নিও না। আল্লাহ ওনাদের বেহেশত নসিব করবেন। আর ওনারা তো (খান সাহেব ওসমান আলী, একেএম সামসুজ্জোহা, নাগিনা জোহা, নাসিম ওসমান) তো শুধু তোমার বাবা মা না। আমারও চাচা চাচী। তোমার বাবা (একেএম সামসুজ্জোহা) আমাদের মুক্ত করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন। আল্লাহ চাচাকে বেহেশত নসিব করুন। চাচীর (নাগিনা জোহা) কাছে আমরা ছোট বেলায় বড় হয়েছি। আমরা একটাই পরিবার।’

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘কথার শেষের দিকে তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তিনি আমাকে প্রাণভরে দোয়া করেছেন। একজন রাজনীতিকের কাছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। আমি মনে করি তার দোয়া মানে দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়া। কারণ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার( প্রধানমন্ত্রী) মাতৃস্নেহে আমার কষ্ট লাঘব করেছে।’

 

প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৪ সালে নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close