আন্তর্জাতিকজাতীয়নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদররাজনীতি

শামীম ওসমানের শ্লোগান এবার পশ্চিমবঙ্গের ‘খেলা হবে দিবস’

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংসদ সদস্যদের একজন নারায়ণগঞ্জের একেএম শামীম ওসমান। আর ‘খেলা হবে’ সংলাপের মধ্য দিয়ে তাঁর জনপ্রিয়তার মাত্রা ছড়িয়ে পড়ে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাংলা ভাষাবাসীদের মাঝে। পশ্চিমবঙ্গের সবশেষ নির্বাচনেও শামীম ওসমানের সেই ‘খেলা হবে’ সংলাপটি স্লোগন হিসেবে ব্যবহার করে জয় পেয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার সেই রাজ্যে ‘খেলা হবে’ দিবস-ই পালন করা হলো।

১৬ আগস্ট দিবসটিকে ঘিরে সকাল থেকে রাজ্যজুড়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি কলকাতা, উওর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানসহ ২৩টি জেলায় এ সকল আয়োজন চলেছে।

রাজ্যের তরুণদের ‘খেলা হবে’ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেন, ‘গত বছর এই দিনটা খুব ভাল ভাবে পালন করা হয়েছিল। এ বছর আরও বেশি করে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ দেখতে চাই। ওঁরাই উন্নয়নের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাহক। আমি চাই এই দিনটা এ রাজ্যে তরুণ নাগরিকদের জেদ এবং আবেগের প্রকাশের প্রতীক হয়ে থাকুক।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছু দিন পূর্বে ২০১৩ সালে শামীম ওসমান সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় খেলা হবে সংলাপটি প্রথম উচ্চারণ করেন। এরপর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে পরে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরায় জনপ্রিয় রাজনৈতিক স্লোগানে রূপ নেয় ‘খেলা হবে’। পরবর্তীতে ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের মাধ্যমে ভারতে স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়।

বাংলাদেশে আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। ‘খেলা হবে’ সংলাপটি ব্যবহারের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা বাংলা ভাষাবাসীর মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।

গত কয়েক বছর যাবত তিনি যে দেশেই গিয়েছেন; তাঁকে ঘিরে ছবি তুলতে কিংবা কথা বলতে দেখা গেছে প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাংলা ভাষাবাসীদেরকে।

‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শামীম ওসমান জানিয়েছিলেন, “আমি শুনেছিলাম এই স্লোগানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। এই স্লোগানটির এভাবে জনপ্রিয়তা হওয়ার পর খুশি হয়েছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।”

উল্লেখ্য, বঙ্গ রাজনীতিতে ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি জনপ্রিয় হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম বড় অবদান রয়েছে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের। এই স্লোগানটি শোনা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও। এমনকী, তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগানের সমালোচনা করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close