আন্তর্জাতিকখেলাধুলা

ইউরোপ জুড়ে কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ বয়কটের আন্দোলন

প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েই নানান সমালোচনার ঢেউয়ের সম্মুখীন সম্মুখিন হতে হচ্ছে কাতারকে। কাতার এতো বড় একটি আয়োজন করতে পারবেনা বলেও জানিয়েছিলেন বিশ্বের অনেক নেতারা। তবে সব কিছুর উত্তরে ২২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে বর্নাঢ্য আয়োজন করে দেখিয়েছে কাতার।

তবে এতেও যেন কাতারের পিছু ছাড়ছিলোনা সমস্যা। বিশেষ করে, অভিবাসী শ্রমিকদের সাথে এর আচরণ এবং এর মানবাধিকার আইন ভাঙ্গার অভিযোগ আনে কিছু দেশ। যার ফলে দলগুলোকে টুর্নামেন্ট সম্পূর্ণভাবে বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়। মুলত ইউরোপের বেশ কিছু দেশ এসব অভিযোগ করে।

জার্মান বুন্দেসলিগার খেলাগুলোতে ‘বয়কট কাতার ২০২২’ ব্যানারগুলো এখন একটি পরিচিত দৃশ্য হয়ে উঠেছে। বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে ততই তীব্র আন্দোলনের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। এটি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এছাড়া কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ফিফার প্রতিনিধিদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে, যা অন্যায়। তবে ঘুষের অভিযোগটি কাতার এবং ফিফা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ উঠেছে, ২০১০ সালে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোষণার পরে স্টেডিয়াম মেরামত কাজে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছে। তবে জাতিসংঘের মতে, সব মৃত্যুর ঘটনা স্টেডিয়াম নির্মাণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না। এ বিষয়ে কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রতিটি পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দেশের শ্রম আইন সংশোধন করেছে এবং একটি ন্যূনতম মজুরি চালু করেছে। তবে এ বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, কাতারে অভিবাসী শ্রমিকদের নির্যাতনের ঘটনা রয়ে গেছে এবং শ্রম আইন সংস্কার এখনো অসম্পূর্ণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close