জাতীয়রাজনীতি

কোন শক্তিই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না-ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছন, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল বিএনপিই সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভার তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে, কারণ আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস দেশের জনগণ।

দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে, কোন শক্তিই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে, ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সাথে তুলনা নয়, বাংলাদেশকে তুলনা করা হবে আমেরিকা, ইউরোপের সাথে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই- বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই- বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্র আজ শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।

গত ১৩ বছরে শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জন বিএনপিকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে এমন কোন উন্নয়ন করেনি, যা থেকে তারা জনগণের কাছে ভোট চাইবে?

জুন মাসেই চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে জানিয়ে- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষে সামারি পাঠাব নেত্রীকে। তিনি তখন সময় দেবেন। সেই সময়েই আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে বিশ্ব ব্যাংক তাদের সহযোগিতার হাত ফিরিয়ে নিয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বজ্রকন্ঠে বলেছিলেন- বিশ্ব ব্যাংক চলে গেলেও, আমরা আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধু কন্যার সে স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ এর আজকের বাংলাদেশ কোথায়! শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের আজকের মুক্তি সংগ্রামের কান্ডরি শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশে বাক-স্বাধীনতা রয়েছে বলেই যখন-তখন গণমাধ্যম ব্যবহার করে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল অযৌক্তিক বক্তব্য দিয়ে জনবিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে, তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ভয় পায়। তাদের সব ষড়যন্ত্র- দেশ, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে শেষ করার জন্য, দেশের উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়ার জন্য।
এ সময় দেশ বিরোধীদের সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান নানক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close