Bojrodgoni.com/Lab

বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু রাইসার পাশে বসুন্ধরা এমডি

অনেক সাধনায় পাওয়া বুকের ধনকে নিয়ে দুশ্চিন্তার মেঘ রহমান মাসুদের কপালে। সাড়ে তিন বছর বয়সী একমাত্র কন্যাসন্তান ঋষিতা রাইসা আক্রান্ত বিরল দুরারোগ্য রোগে। একে তো অচেনা রোগ, তার ওপর ব্যয়বহুল। আদুরে কন্যার চিকিৎসা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়া মাসুদের দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

শিশু রাইসার চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে তাঁর স্ত্রী বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, তাঁর সন্তান আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান ও আরিশা আফরোজা সোবহান ১০ লাখ টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন রাইসার পিতার হাতে। তাঁরা এ সময় শিশু রাইসার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেন।

রহমান মাসুদ পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজবাংলার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেছেন। অনুদানের চেক পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘১০ বছর বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন গণমাধ্যমে কাজ করেছি। এখনো নিজেকে বসুন্ধরার একজন মনে করি। একমাত্র কন্যা বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এ জন্য তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

রহমান মাসুদ আরো জানান, বিয়ের পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাঁদের কোনো সন্তান হচ্ছিল না। এ নিয়ে তখন তাঁদের মন খারাপের অন্ত ছিল না। এরপর তাঁদের সংসার আলোকিত করে রাইসা জন্ম নেয়। সব কিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু মাস ছয়েক আগে পরিবারে নেমে আসে দুশ্চিন্তার মেঘ। রাইসা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর একপর্যায়ে জানতে পারেন, রাইসা দুরারোগ্য হার্সপাঙ ও রেক্টোরাল ইনফাংশনাল ডিজিজে ভুগছে। বর্তমানে ভারতের ভেলোরে ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জন অরুণ লাল লেলের অধীনে চিকিৎসা চলছে। এটি খুবই বিরল রোগ।

সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রহমান মাসুদ বলেন, রোগটি বিরল হলেও নিরাময়যোগ্য। এর জন্য একটি বড় ধরনের সার্জারি করতে হবে। সার্জারিসহ পুরো চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি। সে অবস্থায় মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোয় মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে মনের ভেতরে বয়ে বেড়ানো অস্বস্তি অনেকখানিই কেটে গেছে। তিনি মেয়ের সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close