আন্তর্জাতিকখেলাধুলাজেলা/উপজেলাসারাদেশ

ভৈরবে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ভক্তদের কথার লড়াই

মোঃ রাফি তালুকদার, ভৈরব(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ভক্তদের লড়াই চলছে।বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার দূরে ব্রাজিলের অবস্থান। আর আর্জেন্টিনার দূরত্ব প্রায় ১৭ হাজার কিলোমিটার। যদিও কোনো কোনো তথ্যে দূরত্বের এ হিসাবে কিছু কম-বেশি থাকতেও পারে। তবে সেই দূরত্ব ছাপিয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা আর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনার ঢেউ লেগেছে দেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায়।সময়টা এখন ফুটবলপ্রেমীদের বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে।আর মাত্র কয়েক দিন পরই কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। তার আগেই ভৈরবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই শুরু হয়ে গেছে। এটা মাঠের লড়াই নয়। মাঠের বাইরে ভক্তদের লড়াই। বিশ্বকাপে ৩২ দল অংশ নিলে ও ভৈরবে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উন্মাদনাই বেশি। পছন্দের দলের জার্সি,পতাকা কেনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে ফুটবল ভক্তরা। বাসা-বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতেও উড়ছে তাদের প্রিয় দলের পতাকা।কেউ কেউ প্রিয় দলের জার্সি পড়ে অনলাইনে স্ট্যাটাস দিচ্ছে সমর্থন জানানো হচ্ছে।

বিশ্বকাপের সময়টাতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থন নিয়ে বিভক্ত হয়ে যায় ভক্তরা। আর প্রিয় ফুটবল দল কিংবা পছন্দের খেলোয়াড়ের সমর্থনে অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে জার্সি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিভিন্ন দেশের তারকা ফুটবলারদের নামাঙ্কিত জার্সি কেনাবেচার ধুম পড়েছে যথারীতি। পাল্লা দিয়ে এসব জার্সি কিনছেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ভক্তরা। দোকানগুলোতে সব দলের জার্সি থাকলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার জার্সি।

সরেজমিনে ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পতাকার সমারোহ এবং ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রিয় দলকে সমর্থন জানিয়েছেন ভক্তরা।সবার সবার মনেই এখন ফুটবল ভাবনা। যানবাহন গুলোতেও পছন্দের দলের পতাকা লাগিয়ে উন্মাদনায় মেতেছেন ফুটবল প্রেমীরা। পতাকার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় দর্জিরা। রাতদিন তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপের আর দিন কয়েক দিন বাকি। আগামী ২০ নভেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে প্রথমবারের মতো এবারই বসতে যাচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতার তৈরি করছে একাধিক দৃষ্টিনন্দন নতুন স্টেডিয়াম। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, স্টেডিয়ামগুলো একইসঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিরও সর্বোত্তম ব্যবহার করবে।আগামী ২০ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা উন্মোচন হবে কাতারের বৃহত্তম শহর আল-খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামটিতে রয়েছে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা। ধারণা করা হচ্ছে, এবার বিশ্বকাপ উপভোগ করতে কাতারে আসবেন প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি অতিথি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close