নারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে ওএমএস চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন

চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে দেশব্যাপী চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) শুরু হয়েছে। ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করেছে সরকার। এছাড়াও টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেওয়া হবে ওএমএসের চাল। একই সঙ্গে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিন কদমতলী নাভানা সিটিতে ডিলার মোঃ সেলিম মোল্লার কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া ও মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকালের সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার গোলাম কিবরিয়া সোহাগ, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোয়াব আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, জামাল দেওয়ান, মকবুল হোসেন, মোঃ মালুসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ডিলারদের মাধ্যমে  ৩০ টাকা কেজি দরে চাল এবং ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি শুরু করেছে সরকার। সারাদেশের ৮১১টি কেন্দ্রে ডিলারের মাধ্যমে চলমান ওএমএস কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করে সরকার ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এরমধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে। আর আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। ঢাকা মহানগর, শ্রমঘন ৪টি অঞ্চল ও বিভাগীয় শহরের মোট ৪০৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন হারে আটার মোট বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ওএমএস কেন্দ্রে এসে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে পারবেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএসের মতো ন্যায্যমূল্যে ১০ কেজি হিসেবে চাল পাবেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দেয়া হবে।

এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি প্রান্তিক পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে ওএমএসের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আশাব্যক্ত করে বলেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বাজারে চাল কিনতে না গেলে, স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close