জাতীয়নির্বাচনী হালচালরংপুর বিভাগরাজনীতি

মক ভোট নিয়ে রংপুর সিটি নির্বাচনে মোস্তফার অসন্তোষ

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সবকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ভোটারদের ইভিএমের ধারণা দিতে দুই দিনের মক ভোট কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই মক ভোটের উদ্যোগ ভোটারদের কোনো কাজে আসছে না উল্লেখ করে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ধাপ এলাকায় গণসংযোগকালে মক ভোটিং নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাবেক এই মেয়র। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুই দিনের মক ভোটিং কার্যক্রমে ৪ লাখের বেশি ভোটারের কাছে ইভিএম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পৌঁছানো সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনকে শুরুর দিকেই এই উদ্যোগ নিতে হতো।

মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শুরুর দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে ডামি ইভিএমে প্রচারণা চালানোর অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু এটাকে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অনুমতি দেয়নি। নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে পাড়া-মহল্লায় মক ভোটিং আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এখন যে মক ভোটিং চলছে, তা কোনো কাজেই আসছে না। পর্যাপ্ত মানুষের কাছে ইভিএমের মেসেজ পৌঁছাচ্ছে না। ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয়, এখন ৯০ ভাগ মানুষই তা জানেন না।

সাবেক এই মেয়র বলেন, নির্বাচন কমিশনের জনবল ও তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট এত নেই যে তারা প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ইভিএম সম্পর্কে মানুষকে জানাবে। নির্বাচন কমিশনের লোকজন কথা বলে অনেক কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অনেক ভোট নষ্ট হবে, অনেকে ভোট দিতে পারবে না, অনেক ভোট বাতিল হবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গেলেও ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে তারা জটিলতায় পড়বে। সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিং হওয়ায় কারও কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ারও সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশন আরও আগ থেকেই যদি মক ভোটিংসহ পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক প্রচারণা চালাতো, তাহলে ভোট নষ্ট বা ইভিএম নিয়ে মানুষের মনে আশঙ্কা থাকত না বলে মনে করছেন লাঙ্গল প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী। এ সময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আবেগ-উচ্ছ্বাস, ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close