আইন ও অধিকারজেলা/উপজেলাবরিশাল বিভাগবিভাগসারাদেশ

পটুয়াখালীর কমলাপুরে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

 

পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মধ্য ধরান্দী গ্রামে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে । গতকাল রবিবার বিকেল ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জলিল( ৩৫) ওই গ্রামের মেনাজের ছেলে। এ ব্যাপারে গাছের মালিক রহম হাওলাদার কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে তার গাছ থেকেই পড়ে গিয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। কোনরকম সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে গাছে উঠানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন যে তাকে কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করানো হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির বলেন,সাবেক চেয়ারম্যান সালাম মৃধা, রহম হাওলাদার জেলা প্রশাসক অফিসে একজন আত্মীয়ের চাকুরীর প্রভাব খাটিয়ে লাশ দাফনের লিখিত অনুমমতি এনেছে কিন্ত লিখিত কপি কাউকেই তারা দেখাই নি।
এ দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী ব্যক্তি গাছ থেকে পড়ে গিয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। তাকে রহম হাওলাদার কোনরকম হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেন নি । এমনকি মৃত জলিলের পরিবারকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে কমপক্ষে দুই ঘন্টা পরে জানানো হয়। অতি দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিলে হয়তো বাঁচানো যেত বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন। রহম হাওলাদার ভুক্তভোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য এমন কাণ্ড করে থাকতে পারেন বলে মনে করেন এলাকাবাসী । নিহত জলিলের পরিবার জানায়, রহম হাওলাদারের সাথে তাদের জমিজমাসংক্রান্ত অনেক বিরোধ অনেক আগ থেকে চলে আসছিল। রহম হাওলাদার নাকি তাদের জমি অনেকদিন ধরেই জোর জবর দখল করে ভোগ দখল করেন। নিহত জলিলের স্ত্রী বলেন, রহম হাওলাদার এর ছেলে এক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়ায় অত্র এলাকায় এমনকি অত্র দুর্ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে বাকবিতন্ডা হলে, রহম হাওলাদারের ছেলে নিহত জলিলের স্ত্রীকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর করতে দৌড়ে যায়। নিহতের পরিবার থেকে আর কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বজনকে হারিয়ে তারা অনেকটা নিস্ব হয়ে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে তারা ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য রহম হাওলাদার আজাহার মেম্বার হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আজহার মেম্বার হত্যাকাণ্ডে রহম হাওলাদারকে অনেক দিন জেল খাটতে হয়েছিল।
জানা গেছে নিহতের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কে ভুল বুঝিয়ে তার অনুমতি নিয়েই তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করে দেয় রহম হাওলাদার। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন যদি কোন ধরনের অভিযোগ আসে তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close