আইন ও অধিকারজাতীয়নারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে তথ্যকুঞ্জের বিবৃতি

২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণকে নিজ-নিজ দেশের সব ধরনের তথ্য জানার অধিকারের বিষয়ে তাদের সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ২৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবস পালন করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বুধবার ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২২ পালন করা হবে।

সারাদেশের মানুষকে তথ্যের অধিকার বিষয়ে আরো সচেতন করতে ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় তথ্য অফিসের সহায়তায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে ওইদিন র‌্যালি, সমাবেশ, তথ্য অধিকারভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে তথ্য অধিকার নিয়ে জনগনকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা কারী সামাজিক উদ্যোগ “তথ্যকুঞ্জ” এর পক্ষ থেকে এর লিডার রাকিবুল ইসলাম ইফতি ও কো-লিডার সাইদ মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

রাকিবুল ইসলাম ইফতি বলেন, তথ্য অধিকার আইন জনগণের কল্যাণে প্রণীত। জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার আইন হলো তথ্য অধিকার আইন-২০০৯। তথ্যের অবাধ প্রকাশ জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সমুন্নত থাকবে। ‘তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের সুশাসন নিশ্চিত হবে, জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সমুন্নত থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, আমরা তথ্যকুঞ্জের পক্ষ থেকে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সমন্বয় করে তথ্য অধিকার কে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মূলত সিদ্ধিরগঞ্জ কমিউনিটির স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ড সুমিলপাড়া,বার্মাস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, পেশাজীবী, সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী-অভিভাবক, সমাজকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগনকে তথ্য অধিকার বিষয়ে সচেতন করতে নিরলস ভাবে আমাদের টিম “তথ্যকুুঞ্জ” কাজ করছে।

সাইদ মাহমুদ বলেন, তথ্য কমিশন সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান বাধাসমূহ দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও তথ্য কমিশন তথ্য বঞ্চিত জনগণের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত শুনানির মাধ্যমে তাদের তথ্য প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন মাধ্যমে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণ যত তথ্য পাবে, তাদের জীবনমানের তত উন্নয়ন ঘটবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা একদল তরুন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালিত লীড বাংলাদেশ প্রজেক্ট এর মাধ্যমে ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং গ্রহণ করি। পরবর্তীতে সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে তথ্য অধিকারকে জনগণের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “তথ্যকুুঞ্জ” গঠন করি। আমাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ১২ সদস্যদের টিম নিয়ে বিভিন্ন উঠান বৈঠক, পরামর্শ সভা, মতবিনিময় সভা, লিফলেট বিতরণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, কুইজ প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী কাজ করে তথ্য অধিকার বিষয়ে জনগনকে সচেতন করতে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close